ZoyaPatel

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

Mumbai
 

 বই 📚 লিংক ⏩https://rkmri.co/leRNoMeRRAm2/

 ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা:

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দী জুড়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ব্রিটেন ও এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হয় ব্রিটেনের বাজারের জন্যে এশিয়ার পণ্য কিনবার উদ্দেশ্য নিয়ে। এই কেনাবেচার পরিণাম পারস্য থেকে ইন্দোনেশিয়া, এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক। অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে প্রায় নাটকীয়ভাবে কোম্পানি ভারতে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলল।

বই 📚 লিংক ⏩https://rkmri.co/leRNoMeRRAm2/

রাজনীতি ও বাণিজ্যের মধ্যে যে জটিল পরস্পরনির্ভরতা থেকে ভারতে ব্রিটিশ রাজের শুরু, তাই নিয়ে এই বই। সাম্প্রতিক গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্যের সমন্বয় করে লেখক আরও দেখিয়েছেন ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে কোম্পানির তাৎপৰ্য কোথায়, কীভাবে উনিশ শতকের বিশ্বায়ন ভারতে ব্যাবসার কাঠামো বদলে দেয়, আর এই পরিবর্তনের প্রভাব কেন সুদূরপ্রসারী।


নিবেদন কথা:

বর্তমান বই একটি ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ অবলম্বনে লেখা হয়েছে। বইয়ের নাম ‘East India Company: The World's Most Powerful Corporation' (অ্যালেন লেন, ২০১২)। ‘অবলম্বনে’ অৰ্থ অনুবাদ ঠিকই, তবে আক্ষরিক নয়। অনেক জায়গায় অদল বদল হয়েছে, এবং দু-একটা প্রসঙ্গ এখানে আলোচনা হয়েছে যা মূল ইংরেজিতে আলোচিত হয়নি, যেমন সিপাহি বিদ্রোহ। অসীম কুমার নন্দ পাণ্ডুলিপি যত্ন সহকারে সংশোধন করে দিয়েছেন। তাঁর এডিটিং ও মূল্যবান পরামর্শের জন্যে আমি বিশেষভাবে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।


সূচিপত্র:

১. ভূমিকা ১

২. অভিযান ২৪

৩. ভারতে পদার্পণ ৩৮

৪. মাদ্রাজ-বম্বে-কলকাতা ৫১

৫. টালমাটাল ৬৯

৬. যোগাযোগ ৮০

৭. পার্টনার, এজেন্ট ৯৯

৮. যুদ্ধ ১১১

৯. সদাশয় সরকার বাহাদুর ১৩৪

১০. মূল্যায়ন ১৪৯


* সালপঞ্জি ১৬৩

* গ্রন্থপঞ্জি ১৬৭

* নির্দেশিকা। ১৭৯


সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দী জুড়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ব্রিটেন ও এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হয় ব্রিটেনের বাজারের জন্য এশিয়ার পণ্য কিনবার উদ্দেশ্য নিয়ে। এই কেনাবেচার পরিণাম পারস্য থেকে ইন্দোনেশিয়া, এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক। অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে প্রায় নাটকীয়ভাবে কোম্পানি ভারতে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলল। ব্যবসা থেকে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতে কোম্পানির বাণিজ্যের ফলে অর্থনীতির পরিবর্তন- মূলত এই দু’টি বিষয় আলোচিত হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য হত মূলত স্থলপথে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো-ডা-গামার নেতৃত্বে পর্তুগিজ়রা ইউরোপ থেকে ভারতে আসার সোজা সমুদ্রপথ আবিষ্কার করার পর জলপথেও বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়। ভারত/এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে পর্তুগিজ়দের মুনাফার পরিমাণ (অনেকসময় শতকরা এক হাজারেরও বেশি) দেখে উত্তর ইউরোপের ব্যবসায়ীরা লোভ সামলাতে পারলেন না। ভারত/এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করার জন্য তাঁরা জয়েন্ট স্টক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করলেন। এভাবেই জন্ম হল ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০০) আর ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০২)-র। তার অনেক পরে ফরাসি, ড্যানিশ প্রভৃতি কোম্পানির উদ্ভব। ষোড়শ শতকে ভারত মহাসাগরের বাণিজ্যে পর্তুগিজ়দের ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু সতেরো শতকে ডাচ আর ইংরেজরা এসে পর্তুগিজ়দের হটিয়ে দিয়ে নিজেরাই সর্বেসর্বা হয়ে ওঠে। আলোচ্য গ্রন্থে তীর্থংকর দুটো ‘বড় প্রশ্ন’-র উত্তর খুঁজেছেন। প্রথম, ব্যবসা থেকে সাম্রাজ্যবাদ (মানদণ্ড থেকে রাজদণ্ড)- কোম্পানির এই বিবর্তনের কারণগুলি কী? দ্বিতীয়ত, ভারতে কোম্পানির বাণিজ্যের ফলে অর্থনীতির কী পরিবর্তন হয়েছিল? ‘ভূমিকা’ ও ‘মূল্যায়ন’ বাদ দিয়ে সাতটি সুচিন্তিত ও সুবিন্যস্ত অধ্যায়ে লেখক তাঁর বক্তব্য ও মূল সিদ্ধান্ত পেশ করেছেন। Review By murad

Ahmedabad